Logo

আন্তর্জাতিক    >>   ইরানের সেনাবাহিনীতে যুক্ত হলো ১ হাজার অত্যাধুনিক ড্রোন

ইরানের সেনাবাহিনীতে যুক্ত হলো ১ হাজার অত্যাধুনিক ড্রোন

ইরানের সেনাবাহিনীতে যুক্ত হলো ১ হাজার অত্যাধুনিক ড্রোন

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইরানের সামরিক শক্তি আরও একধাপ এগিয়ে গেল। দেশটির সেনাবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে ১ হাজার নতুন অত্যাধুনিক ড্রোন। ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সোমবার (১৩ জানুয়ারি) এই ড্রোনগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে সেনাবাহিনীতে হস্তান্তর করা হয়।

ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিমের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, এসব ড্রোনে রয়েছে নিখুঁত হামলা চালানো, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, এবং নেটওয়ার্ক ওরিয়েন্টেশনের মতো অত্যাধুনিক সক্ষমতা।

গত ৯ জানুয়ারি ইরানের সেনাবাহিনীর স্থলবিভাগের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কিউমার্স হায়দারি জানান, তার বাহিনী আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম গ্রহণ এবং সেগুলো ব্যবহার করার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এই ড্রোনগুলোর চারটি বিশেষ কৌশলগত সুবিধা রয়েছে:

১. দূরপাল্লার কার্যক্ষমতা: দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করে আক্রমণ বা তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।

২. নিখুঁত হামলার ক্ষমতা: নির্দিষ্ট লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট হামলা চালানো সম্ভব।

৩. গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ: সামরিক গোয়েন্দা কাজের জন্য ড্রোনগুলো অত্যন্ত কার্যকর।

৪. নেটওয়ার্ক ওরিয়েন্টেশন: যুদ্ধক্ষেত্রে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য এই প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান তার ড্রোন প্রযুক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করেছে। দেশটি এখন পশ্চিম এশিয়ার পাশাপাশি অন্যান্য অঞ্চলে পাইলটবিহীন বিমান তৈরিতে শীর্ষস্থানীয় দেশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

জেনারেল হায়দারি বলেছেন, ইরানের সামরিক বাহিনী হাজার হাজার ড্রোনসহ অন্যান্য অত্যাধুনিক সরঞ্জাম গ্রহণ করেছে। সামরিক শক্তি বাড়াতে এই ধরনের ড্রোন ব্যবহার ইরানের জন্য একটি কৌশলগত পরিবর্তন।

ইরানের এই ড্রোন শক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের সঙ্গে তার উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ। ড্রোনগুলো যে কোনো যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইরানকে কৌশলগতভাবে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরান তার সামরিক ড্রোন প্রযুক্তি আরও উন্নত করার পাশাপাশি এই প্রযুক্তি রপ্তানির দিকেও নজর দিতে পারে।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert